মানুষের সভ্যতা যতই এগিয়ে চলেছে পরিবেশ ততই দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ বলতে বোঝায় দূষিত পরিবেশ। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জলস্থল এবং বাতাস এই তিনটি উপাদান খুবই প্রয়োজনীয়। উপাদান গুলি সবই আজ দূষিত।
পরিবেশ দূষণের কারণ:
শহরের নর্দমার নোংরা জল, কলকারখানার বিষাক্ত তরলপদার্থ এবং গ্রামাঞ্চলে চাষের জমিতে রাসায়নিক সারপ্রয়োগ, বিষাক্ত ওষুধ ইত্যাদির ব্যবহারের ফলে নদী নালার জল দূষিত হচ্ছে। গাছ পালা ধ্বংস করে ফেলার জন্য স্থল বা মাটির উর্বরশক্তি কমে যাচ্ছে। কলকারখানা ও যানবাহনের বিষাক্ত গ্যাস ও ধোয়া বায়ুতে মেশার ফলে বায়ু দূষিত হচ্ছে। গাছপালা কেটে ফেলার জন্য বায়ু দূষিত হচ্ছে। বায়ুতে অক্সিজেনের ভাগ কমে যাচ্ছে। অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে। এছাড়া আছে শব্দদূষণ।
পরিবেশ দূষণের ফল:
জল দূষণের ফলে জলে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। মানুষ আন্ত্রিক, কলেরা, আমাশয় প্রভৃতি রোগে ভুগছে। স্থলে দূষণের ফলে জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে মানুষ নানা রকম রোগে ভুগছে। যেমন- হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার, চর্মরোগ। আবার শব্দ দূষণের ফলে কানে কম শোনা, মাথার যন্ত্রণা, হজমের গন্ডগোল প্রভৃতি দেখা দিচ্ছে ।
উপসংহার:
পরিবেশ দূষণের ফল মারাত্মক। মানুষ নিজেই তার পরিবেশকে দূষিত করে তুলেছে। পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বেশি পরিমাণে গাছপালা লাগাতে হবে। কলকারখানা এবং যান বাহনের ধোঁয়া যাতে বায়ু মণ্ডলকে দূষিত করতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। শহরের নর্দমার নোংরা জল নদী নালায় ফেলা বন্ধ করতে হবে। চাষের জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে।